বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে কবির সিকদার (৪০) নামে এক কয়েদির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছেন। শুক্রবার বেলা ১টার দিকে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযোগ উঠেছে কারা কর্তৃপক্ষের নির্যাতনে তিনি মারা গেছেন। তবে কারা কর্তৃপক্ষের দাবি কবির সিকদার আত্মহত্যা করেছেন।
কবির সিকদার পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার দলিল উদ্দিন সিকদারের ছেলে। তিনি ভোলার মনপুরা থানার একটি চুরি মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। কারাগারে চন্দ্রদ্বীপ নামক ভবনটিতে তিনি ছিলেন।
কারাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন- কারাগারের ভেতরে খুঁজে কবির সিকদারকে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে কারা অভ্যন্তরে ডিভিশন ভবনের রান্না ঘরের স্টোর রুমের আড়ার সাথে গামছা পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় কবির সিকদারকে দেখতে পায় কয়েদিরা।
খবর পেয়ে কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে উদ্ধার করে শেবাচিমে নিয়ে যায়। সেখানে ডিউটিরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
শেবাচিম হাসপাতালে ডিউটিরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল ইসলাম খবর বরিশালকে বলেন- লাশটির সুরতহালের প্রস্তুতি চলছে। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হবে।’
এদিকে কারাগারের ভেতকার একটি সূত্র দাবি করেছে- সকালে কারা অভ্যন্তরে বেশ কয়েকজন কারারক্ষী মিলে তাকে মারধর করেন। সেক্ষেত্রে ধারণা করা হচ্ছে- সেই মারধরেই কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে এই বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
তবে সূত্রের ওই দাবিকে সমূলে অস্বীকার করে বরিশাল কারাগারের জেলার ইউনুস জামান বলছেন- এটি যে আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেই প্রকাশ পাবে।’’
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply